কে তুমি? কিসের জন্য তোমার এ ধরায় আসা
চিন্তা করিয়া দেখেছ কভু কত মায়াজাল বাসা।
এসেছ তুমি ধরণী বক্ষে শ্রেষ্ঠ সে উপহার
কত বিচিত্রা এ ধরা আছে প্রিয়জন সংসার।
সুখের নিবিরে মায়ার বাঁধনে আছ মিশে দিনভর
চিন্তা করিয়া দেখেছ কভু কি হেতু এ চরাচর।
এসেছ তুমি রিক্ত হস্তে প্রসুন স্নিগ্ধ মহিতে
বিনে দামে শ্বাস-প্রশ্বাসে ছুটিতেছ দিবারাতে।
ভাবিয়া কভু দেখেছ তুমি কি তার দরকার
যদি না পার ছড়াতে ধরায় সুখের পারাবার।
এ ধরণী বিচিত্র সুন্দর রং তুলির সমাহার
যদি না পার আঁকিতে ছবি,সবি হবে চুরমার।
পৃথিবীর বুকে চলছ তুমি হেসে খেলে অবিরাম
ভেবে দেখ ভালো করে কি তোমার পরিচয় দাম।
জীবণ তরীর নেইতো দাম যদি থাকে মাঝ পাথারে
যদি কভু তা ফিরে না আসে সুখ শহরের কিনারে।
যদি না জান কি তোমার পরিচয়, কি এই জীবন
বৃথা আসা ধরণীতে,বৃথা তোমার সবি বিচরন।
শোন হে মনুষ্যদল,ছুটে চল অবিরাম নির্ভয়ে
সুখেরই কেতন থাকবে তোমাতে,বলি অভয়ে।
এসেছ তুমি ধরণীতে হয়ে আরশাফুল মাখলুখাত
তোমাতে আছে সকল শক্তি উদ্ভাসের বাজিমাৎ।
তুমি চল দুরন্ত গতিতে,হুতাশন বেগে পিছে না চাহি
করে দাও সবি ঝঞ্ঝার সমাধান, উপায় আর নাহি।
জীবন তটীনি যদিও থাকে অবাধ হিল্লোলে মেতে
ভাসাও তবু সুখের তরী, বহুদূর হবে যেতে।
তোমাকে হতে হবে দিগন্তজয়ী, ভেবে দেখ একবার
শঁত বাঁধা পেরিয়ে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যাও বারবার।
যেখানে দেখিবে অত্যাচারি, অন্যায়-অগ্নির ভূতল
নিয়ে শক্তি পুরোদমে, ছুটে যাও কর তারি কতল।
স্থল, সিন্ধু, অন্তরীক্ষ যেখানে দেখিবে অন্যায়
অগ্নি নিশান ললাটে বেঁধে ভাসাও সবি বন্যায়।
যেজন মাতায় কোলাহলে ত্রিযামার নিরবতা
কর প্রতিবাদ হয়ে অগ্নয়াস্ত্রি,নয়ত হবে জীবন বৃথা।
উড়াও ধরায় মুক্ত কেতন,তবেই মানুষ বলব আমি
জীবন যুদ্ধে পিছু না হটে,জয় ছিনিয়ে না্ও তুমি।
চলবে তুমি হয়ে মুক্ত বিহঙ্গ ধরণীর গগন মরুতে
না মেনে কোনো শৃঙ্খল আইন, বিচরনে এই পৃথ্বীতে।
যেজন ছড়ায় তমিস্রা, এই প্রসুন স্নিগ্ধ মহীতে
করে দাও তারে বিচ্ছিন্ন, বিশাল প্রস্তর আঘাতে।
যেজন হাসে অন্যায় হাসি,করে ঘোলা জীবন বারি
হয়ে প্রভঞ্ঝন আবাচী মরুতে উচ্ছেদ কর তারি।
মুখ হতে নেয় যে জন কাড়ি তৃষ্ণার শীতল জল
হয়ে অগ্নি অচল দ্যু বুকে বুঝা্ও তারি ফল।
যেজন গর্জে কুসুম ঘেরা অবণীতে, ঝরায় নেত্রবারি
নিয়ে শমসের তুরঙ্গমে, নাস্তানাবুদ কর তারি।
জীবণ অংশু করে যে তিমির,ঝরায় আবীর অতল
পাবকের শিখায় করে দহন কর তারে কতল।
যেজন হয়ে রাবণ করে বিনাশ ধরণীর আঁধারে
হয়ে সুনামি হয়ে ঝটিকা ডুবাও তারে পাথারে।
সুখের মহী করে যে আঁধার দিয়ে কুৎসা কুমন্ত্রনা
বিনাশ কর তারে প্রস্তর আঘাতে দিয়ে অতই যন্ত্রনা।
তুমি তোমাকেই দাও শান্তনা ভুলে সবি বিষাদ বেদনা
জীবণ উঠোনে কুসুম রোপ নিয়ে মুক্তির চেতনা।
তুমি সাজাও তোমার ধরা, তোমার মত করে
যত বাঁধা,ভয়,ঘূর্ণী আসুক, কভু যেওনা সরে।
তুমি হারালে বিশ্বাস, ফুটবে না ফুল মহীতে
তুমি হও শক্ত নিয়ে প্রস্তর মন বাঁচ এ পৃথ্বীতে।
যদি হও দুর্বল তবে কর শক্ত পণ বলি তা আমি
প্রশ্ন কর অন্তর মাঝারে,কেন আসা ধরায়-কে তুমি?
0 Comments