প্রথম পর্ব পড়তে এখানে ক্লিক করুন! মেয়েটি মেঝেতে শুয়ে ছিল সম্পূর্ণ বিবস্ত্র অবস্থায়। গায়ের সমস্ত শক্তি দিয়ে সে তীক্ষ্ণ চিৎকার করে যাচ্ছিল।যুবকটি ছিল ঘরের এককোণায়, দেয়ালে হেলান দিয়ে বসে ছিল সে। কাঁদছিল অঝোরে। যুবকের একহাত পাশে রাখা একটা বাতির আগুনের মধ্যে ধরা। বাতাসে মাংস পোড়ার তীব্র কটু গন্ধ।যুবকই কাঁদছে আর কাঁদছে।ওইদিকে মেয়েটি চিৎকার করছে। লোকেরা মেয়েটিকে ঘরের বাইরে নিয়ে গেল আর মেয়েটি ভয়ার্ত কন্ঠে বলতে থাকলো,‘ তোমরা আমাকে এই যুবকটার কাছ থেকে দূরে নিয়ে যাও । আল্লাহর শপথ! এর ঈমান আমাকে শেষ করে দিচ্ছে। আমি আমার সামনে এমন কিছু দেখতে পাচ্ছি যা আমি তোমাদের বোঝাতে পারবো না,আর এটা আমার অন্তর পুড়িয়ে দিচ্ছে, আমার ভেতরটা ছারখার হয়ে যাচ্ছে।এই যুবকের ঈমান আমাকে খুন করে ফেলছে, আমাকে এখান থেকে তাড়াতাড়ি নিয়ে চলো’। মেয়েটিকে সেই ঘর হতে সরিয়ে নেবার পর সেই যুবক অনুশোচনায় দগ্ধ হয়ে প্রত্যাবর্তন করলো আল্লাহ’র (সুবঃ) নিকট- ‘ইয়া আল্লাহ! আমি যে গুনাহ করেছি তার জন্য আমাকে ক্ষমা করুন”।মেয়েটি তার রূপের ফাঁদে ঠিকই গেঁথে ফেলেছিল যুবকটিকে। মেয়েটির আহ্বানে সাড়া দিতে যুবকটি এক পা দুই পা করে আগাচ্ছিল তার দিকে। কিন্তু এই নাজুক মুহূর্তেও যুবকটি তাঁর রবের কথা,রবের শাস্তির কথা ভুলে যায়নি, মেয়েটির দিকে একটি করে ধাপ আগানোর পর সে তার হাত বাতির আগুনের ওপর ধরছিল এবং নিজেকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিল,‘মনে রাখিস, জাহান্নামের আগুন দুনিয়ার এই আগুনের চেয়েও বেশী উত্তপ্ত’। তীব্র বেদনায় সে মেঝেতে পড়ে যাচ্ছিল । আবার সে উঠে দাঁড়াচ্ছিল। মেয়েটির দিকে আরেক কদম এগিয়ে যাচ্ছিল, আর যখনই সে মেয়েটির দিকে আবার আগানো শুরু করছিল, তখনই সে তাঁর হাতটাকে আগুনে ঠেলে দিচ্ছিল এবং নিজেকে স্মরণ করিয়ে দিচ্ছিল,‘মনে রাখিস, জাহান্নামের আগুন দুনিয়ার আগুনের চেয়েও বেশি তীব্র’। কী ছিল সেই গুনাহ? কী করেছিল সে? সে যিনা থেকে বিরত ছিল। সে ওই জমিনের সবচেয়ে সুন্দরী মেয়ের কাছে যাওয়া থেকে বিরত ছিল । সে কি আসলে কোন গুনাহ করেছিল! অথচ সে বলল, হে আল্লাহ! মেয়েটির দিকে বাড়ানো আমার সেই পদক্ষেপগুলোর জন্য আমাকে ক্ষমা করুন। লস্টমোডেস্টি ব্লগ থেকে সংগৃহিত
0 Comments